গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার জনপ্রিয় অভিনেতা সুজন হাবিব নানা বাড়িতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ছোট পর্দার একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হলেও, তার গল্পটা শুধু আলো ঝলমলে ক্যামেরার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়- তার অন্তরের গভীরতাতেও ভেসে উঠে এক নিঃশব্দ যুদ্ধের ছাপ।
তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স সম্পুর্ন করেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে মা কে হারিয়ে ছিলেন।তখন ছোট ভাই সুমন এর বয়স মাত্র ৪ বছর । মা চলে যাওয়ার পর জীবনে যেন হঠাৎ এক বিশাল শুন্যতা নেমে আসে। সেই শূন্যতা জীবনের প্রতিটি ধাপে সঙ্গী হয়ে থেকেছে।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সে শিখে নেয়- ভেঙে পড়লে চলবে না। অভিনয় ছিল তার আশ্রয়, যেখানে প্রতিটি চরিত্রে সে নিজের জীবনের আবেগ, কষ্ট আর অভাবকে মিশিয়ে দিত।
তার অভিনয়ের গভীরতা এখানেই- চরিত্রে ঢুকলে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। কখনো মায়ের শূন্যতা মনে পড়ে, কখনো জীবনের ক্লান্তি। তবুও, পর্দার সামনে সে দাঁড়ায় হাসিমুখে, কারণ দর্শকের ভালোবাসা তাকে বাঁচিয়ে রাখে।
আজ সুজন হাবিব শুধু একজন অভিনেতা নয়, সে এক জীবন্ত অনুভব। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছেন। মেয়েটিকে কোলে নিলে মাঝে মাঝে মনে হয়—মায়ের অভাবটা যেন কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে।
তার চেহারায় যেমন মায়া, তেমনি চোখেও এক গভীরতা। হাজারো দর্শকের মাঝে সে নিজেকে একজন নায়ক নয়, বরং একজন সুষ্ঠু বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে উৎসর্গ করছেন।