গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গর্ব ডা. মোঃ আনিসুর রহমান গোসাইপুর ইউনিয়নে বালিয়া চন্ডি গ্রামে ১৯৮৮ ইং সনে জন্মগ্রহণ করেন।
পাঁচ ভাই বোনের মধ্য তিনি তৃতীয় তম সন্তান।
ডাক্তার আনিসুর রহমান ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
আনিসুর রহমান কোনো প্রকার টিউশনি কিংবা কোচিং ছাড়াই ২০০২ সালে গোপাল খিলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস এস সি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
আনিসুর রহমান স্কুল জীবনে সমগ্র স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ায় অসংখ্যবার পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি ২০০৪ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে A+ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
এর পর দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পান এবং এমবিবিএস শেষ করে কিছুদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনারারি মেডিকেল অফিসার হিসেবে মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
আনিসুর রহমান দিন রাত অনেক পরিশ্রম করে অবশেষে জীবনের প্রথম ৩৩ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে সুনাম ও সততার সহিত দীর্ঘ চার বছর সেবা প্রদান করেন।
বর্তমানে তিনি রেজিস্ট্রার( রেস্পিরেটরি মেডিসিন) হিসেবে বাংলাদেশের সনামধন্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন ।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমান ম মে ক হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন সেবা দিয়েছেন এবং উনার সেবাই শত শত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তার সহধর্মিণী ডাঃ সুমাইয়া উম্মে জাহান গাইনী বিভাগে প্রশিক্ষনরত আছেন।তাদের দুইটি সন্তান রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানবতার ফেরিওয়ালা ডা মো : আনিসুর রহমান নিজ বাড়িতে থেকে চাকরি করার সময় অফিস টাইমের আগে পরে নিজ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার হাজার হাজার রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করেছেন।
তার বাবা মা এর নির্দেশে এই সেবা টি ছিল সম্পুর্ন বিনামূল্যে যা বর্তমান সময়ের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
ডাঃ আনিসুর রহমান এর নিজ গ্রামে গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশান এর তিনি সম্মানিত উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। এই সংগঠন এর ব্যানারে শীত বস্র বিতরণ, রাস্তা মেরামত ,জুয়া মাদক ও বাল্যবিবাহ বিষয়ক সচেতনতা মুলক অনেক প্রোগ্রাম করেন।