ভূয়া উত্তরাধিকার বানিয়ে প্রায় ৫ একর জমির মালিকানা নিজেদের দখলে নিতে এবং মিথ্যা মামলার অভিযোগ এনে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক আদিবাসী নারী। প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের এই জমির মালিকানা দখল ছাড়াও রাজনৈতিক মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোরাগাঁও ইউনিয়নের মেষকুড়া এলাকায় এই সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী নারী বন্দনা চাম্বুগং এর বোন বিথিলা চাম্বুগং।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আন্দারুপাড়া গ্রামের বন্দনা চাম্বুগং ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অবমুক্ত আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকার সূত্রে মৃত মিজাজ মারাকের রেখে যাওয়া ‘খ’ তফসিলভুক্ত ৪ একর ৯২ শতক জমির মালিকানা প্রাপ্ত হন এবং তার নামখারিজ সম্পন্ন হয়।
কিন্তু এর আগেই একই এলাকার জালাল উদ্দিন, মাইন উদ্দিন ও আব্দুল খালেক যথাাক্রমে ১৯৮২ ও ১৯৯৪ সালে খুকুমনি সাংমা নামে এক নারীকে ভুয়া উত্তরাধিকার বানিয়ে উক্ত ৪ একর ৯২ শতক জমির মধ্যে ২ একর ৫০ শতক লিখে নেন। তবে তারা তখন নামখারিজ সম্পন্ন করেননি। এমনকি পরবর্তী সময়ে ওই দলিল পিবিআই তদন্তে জাল দলিল হিসেবে প্রমাণিত হয়।
বর্তমানে বন্দনার নামে থাকা ৪ একর ৯২ শতক জমির মধ্যে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ ২ একর ৫০ শতক ভোগদখল করছেন। এছাড়াও বন্দনাকে হয়রাণী করতে সম্প্রতি তারই আত্মীয় জীবিতা মারাককে দিয়ে মিথ্যা মারধর ও টাকা আত্মসাতের মামলা করিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বর্তমানে বন্দনাকে রাজনৈতিক মামলায় ফেলে হয়রাণীর হুমকীও দিচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এছাড়াও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চলমান পাল্টাপাল্টি মামলা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
মিথ্যা মামলা ও জমি আত্মসাতের মতো হয়রানীর হাত থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বন্দনা চাম্বুগং এর বোন বিথিলা চাম্বুগং।