এলজিইডি’র অধিদপ্তর কর্তৃক গেজেট ভুক্ত হলো শেরপুরে এলজিইডি’র ৪৭৯টি কাঁচা সড়ক। যাহা বিগত সময়ের চেয়ে অনেকগুণ বেশী। ৪৭৯টি কাঁচা সড়কের মধ্যে টাইপ এ ক্যাটাগরিতে ৩৭৫টি বা ৬১৮.৪১কিলোমিটার (যাহা দুই কিলোমিটারের উপরে), টাইপ-বি ক্যাটাগরিতে ১০৪টি বা ২৩২.৮২ কিলোমিটার। যাহা গেজেটভুক্ত হয়েছে ২০২৪সালের ১৯সেপ্টেম্বরে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, শেরপুরের সুত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলায় ১৩০টি সড়কের মধ্যে ভিলেজ রোড টাইপ এ-১২৪টির ১৮৯.৭০কিলোমিটার এবং ভিলেজ রোড টাইপ বি-৬টির ১৪.২৫কিলোমিটার।
নকলা উপজেলায় ২১টি সড়কের মধ্যে ভিলেজ রোড টাইপ এ-৫টির ১১.৬কিলোমিটার এবং ভিলেজ রোড টাইপ বি-১৬টির ৩৯.৩০কিলোমিটার।
নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১০১টি সড়কের মধ্যে ভিলেজ রোড টাইপ এ-৮৬টির ১৪৬.৯২কিলোমিটার এবং ভিলেজ রোড টাইপ বি-১৫টির ৩৭.৫৭কিলোমিটার।
ইতিপূর্বে ঝিনাইগাতী উপজেলায় আইডিভুক্ত সড়ক ছিলো ১৭২টি। নতুন করে ১৪৯টি কাঁচা সড়ক গেজেট ভুক্ত হওয়ায় মোট সড়কের পরিমাণ হলো ৩২১টি। এই ১৪৯টি সড়কের মধ্যে ভিলেজ রোড টাইপ-এ- ১৪৪টির ২৩৬.৬কিলোমিটার এবং ভিলেজ রোড টাইপ বি-৫টির ১১.৫কিলোমিটার।
শ্রীবরদী উপজেলায় ৭৮টি সড়কের মধ্যে ভিলেজ রোড টাইপ এ-১৬টির ৩৩.৬কিলোমিটার এবং ভিলেজ রোড টাইপ বি-৬২টির ১৩০.২০কিলোমিটার।
শেরপুরের এলজিইডি’র নিবার্হী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান গ্লোবাল টেলিভিশনকে জানান, জেলার ৫ উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা সড়ককে আইডিভুক্ত করতে স্ব-স্ব উপজেলা প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা, কর্মচারিরা ব্যাপক ভাবে পরিশ্রম করে তালিকা প্রস্তুত করেছিলো। যাহা জেলা থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেছিলাম। আমাদের পাঠানো সবগুলো সড়কের আইডি না হলেও জেলার মোট ভিলেজ রোড টাইপ এ-৩৭৫টির ৬১৮.৪১কিলোমিটার এবং ভিলেজ রোড টাইপ বি-১০৪টির ২৩২.৮২কিলোমিটার গেজেটভুক্ত হয়েছে। কাজগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হলে একদিকে পুরো জেলার রাস্তাঘাটের জনদুর্ভোগ কমবে, অপরদিকে উন্নত হবে জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, এমনটাই জানান জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি, ০১৯৮৩-৮৮৫২৪৩