নারায়ণগঞ্জ জেলার নবাগত পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আপনারা যদি কোথাও কোনো প্রমাণ পান যে আমার পুলিশের কেউ এর সাথে জড়িত, আমাকে প্রমাণসহ দিতে হবে।
আজ সোমবার ২০২৪ সাল ২ সেপ্টেম্বর সকালে ১১-৩০ সময় এক মতবিনিময় পুলিশ সুপার উক্ত বক্তব্যে বলেন আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো এ আপনি প্রমাণ দিবেন কিশোর গ্যাং নিয়ে যদি এখন কাজ করতে যাই, তাহলে উল্টা বিপদ আছে। কী বিপদ? সবাই এক হবে, আবার পুড়ানো শুরু আমাদের থানা হবে। আগে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী কাজগুলো শুরু করি আামরা আগে। সাংবাদিক ভাইয়েদের নামে মামলা হচ্ছে আপনারা বলেছেন । মামলা হওয়ার মানে তো এই না যে তার জেল-হাজত হয়ে যাচ্ছে বা সে অভিযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আসলে যে কেউ বাদি হয়ে মামলা করতেই পারে।মামলাটা হলো প্রথমিক পর্যায়। এরপর আমরা ওইটা তদন্ত করবো। তারপর যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে সে অভিযুক্ত হবে, যদি সতত্যা না পাওয়া গেলে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হবে তাকে। পুলিশ গ্রেফতার করবে না অহেতুক তদন্ত না করে কাউকে
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আর বলেন এর আগে সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নবাগত এই পুলিশ সুপার।
সময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো: আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমাসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঐ সময় তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই প্রথম এখানে এসে যানযট দেখে বলেছি, এটাতো কোন শহরের অবস্থা না। আমি সাথে সাথে
আমাদের পুলিশদের ডেকেছিলাম, টিআইদের ডেকেছিলাম। তারাও মানসিকভাবে একটু খারাপ অবস্থায় ছিল। আমি তাদের উজ্জিবিত করেছি। আমি বলেছি, প্রথমে যানযটের সমস্যা সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি ভলেন্টিয়ার দেয়া যায় কি-না সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। আপনাদের ভেতর থেকেও কারো ১০টা সিএনজি বা ১০টা অটো আছে, এসব নিয়ে তদবির করবেন না প্লিজ। তাহলে আমি কিন্তু কাজ করতে পারবো না।’
এসপি বলেন, ‘আমি ২৫তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তা। একটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা এখানে পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। এই দায়িত্ব পালনে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। অনেক চড়াই-উতরাই আছে। কারণ আমাদের পুলিশের মনোবলটা এখন ভেঙ্গে গেছে। গত ৫ আগস্টের পর আমাদের বিভিন্ন থানা-অফিস ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশের মনোবলটাও ভেঙ্গে গেছে। আমরা পুলিশের মনোবল ফেরাতে প্রথমে কাজ করবো। পাশাপাশি জনগণের মধ্যেও পুলিশের প্রতি যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছিলো, ওই জায়গা থেকে উত্তরণের আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে সবার আগে সহযোগীতা প্রয়োজন আপনাদের। আপনারা যদি অতিতের মতো সহযোগীতা না করেন, তাহলে আমরা সব পুলিশ মিলেও জনগণের আস্থা ফেরানো সম্ভব না। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন, আমার পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। আপনারা অবশ্যই গঠনমূলক সমালোচনা করবেন, সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাবো।