শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কবিরাজ পাড়া গ্রামের দুই সন্তানের জনক শফিকুল ইসলাম(৫০) এর লালসার শিকার হলেন জুই(১৩) নামের এক কিশোরী।
তাদের অবৈধ মেলামেশার ফলে ওই কিশোরী এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষক শফিকুল ইসলাম একি এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে।
এলাকাবাসী ও অন্তঃসত্ত্বা জুঁই এর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, কিশোরী জুঁই এর মা ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালায়। ভিক্ষাবৃত্তির কারণে প্রায় সময়েই তার মা বাড়ীর বাইরে থাকতো। এই সুযোগে জুঁই এর প্রতিবেশী ও দুই সন্তানের জনক শফিকুল ইসলাম আনুমানিক ৭/৮ মাস পূর্বে জোরপূর্বক জুঁইকে ধর্ষণ করে।
এরপর থেকে প্রায় সময়ই জুঁই এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেলামেশা করতো শফিকুল। লোকলজ্জার ভয়ে জুঁই বিষয়টি গোপন করে রাখে। কিন্তু বিধিবাম! জুঁই এর ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি সকলের সন্মুখে চলে আসলে তাদের এই গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে পড়ে। শুরু হয় এলাকায় কানাগুসা।
একপর্যায়ে গ্রাম্য মাতাব্বরগণ বিষয়টি দামাচাপা দিতে ওই কিশোরীকে ২০-৩০ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে করার দাবী জানালে শফিকুল সহ তার পরিবার অস্বীকার করে।
অপরদিকে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী জুঁই ও তার পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হলে তারা একদিকে হত-দরিদ্র ও ভিক্ষুক, অপরদিকে শফিকুলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতেও ভয় পাচ্ছে। সেই সাথে ওই এলাকার একটি চক্র বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী জুঁই এই প্রতিনিধিকে জানান, আমি শফিকুলের লালসার শিকার। সে আমাকে জোরপূর্বক বহুবার ধর্ষণ করেছে।
সে আমাকে বিবাহ না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোন পথ নেই। আমি সমাজ ও প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. আল আমিন এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি লোকমুখে বিষয়টি জেনেছি। এখন পর্যন্ত ওই কিশোরী বা তার পরিবার কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তারা অভিযোগ করলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলেও জানান তিনি।