কুড়িগ্রামের সিন্দুরমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে অভিভাবকরা রয়েছে আতঙ্কে। ভবনটি ধসে পড়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের সিন্দুরমতি গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হয়ে তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সালে স্থাপিত করে সিন্দুরমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলজিইডির আওতায় সালে ৩কক্ষের নির্মিত ঘর লবণাক্ততায় পলেস্তারা খসে পড়ছে ও দেয়াল মেঝে ফাটলসহ বিভিন্ন অংশে ফাটলের তথ্য পেয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী গত মে মাসে বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বারান্দায় দুই শিফটে চলছে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীদের রোদ-বৃষ্টি ও তাপদাহে পাঠদান।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সৃষ্টিলগ্ন থেকে যথাবিথি মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন ও বিকাশ প্রসারে পাঠদান করে আসছে এবং ফলাফলও করছে সর্বোচ্চ রেকর্ড। স্কুলে শিক্ষক জন ও শিক্ষার্থী জন। এলজিইডির নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে দ্বিতল ভবনের টেন্ডার সম্পন্ন হলেও ভবন নির্মাণ কাজ এখনও শুরু হয়নি।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিদিন পিতা-মাতাকে থাকতে হয় দুশ্চিন্তায়। সহপাঠীরা অনেকেই ক্লাসে আসছে না। আমাদের নতুন ভবন হলে নিরাপদে লেখাপড়া করতে পারবো।
সহকারী শিক্ষকরা জানান, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকারী সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতি কষ্টে শিশু ছেলে মেয়েদের পাঠদান করাচ্ছি।
সিন্দুরমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফজানান, বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বারান্দায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ওয়াসিম আতহার বলেন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। স্কুলের দ্বিতল ভবনের টেন্ডার সম্পন্ন আগামী এক মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।