গত ৪ আগস্ট শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র হত্যা মামলার আসামীদের নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা করার প্রতিবাদে ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি।
এ কর্মসূচীর ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ফলে
বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচী বাতিল হয়ে যায়।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিক্ষোভ কর্মসূচীকে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
একাধিক সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা এবং ঢাকায় নালিতাবাড়ীর গার্মেন্টকর্মী হত্যা মামলার ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান আসামী।
তারা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি পরবর্তীতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন।
এদিকে সম্প্রতি ওইসব মামলার এজাহারভুক্ত অনেকে প্রকাশ্যে এলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরো ক্ষুব্ধ হন। এমতাবস্থায় শেরপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক নুরুল আমীনের নেতৃত্বাধীন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ২৭ অক্টোবর রবিবার শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচী আহবান করেন।
এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন রবিবার দিনব্যাপী শহরে
১৪৪ ধারা জারি করে। বর্তমানে শহরে সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ১৪৪ ধারা জারির পর বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ কর্মসূচী বাতিল করে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি নুরুল আমীন জানান, সমন্বয় সভায় কি করে হত্যা মামলার আসামীরা উপস্থিত থাকেন? কেন এখনো পর্যন্ত ওইসব চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়নি। এসব দাবীতে আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচী ছিল।
১৪৪ ধারা জারি করায় তা বাতিল করা হয়েছে। এসময় তিনি পুলিশের প্রতি অভিযোগ তুলে আরো বলেন, সম্প্রতি হত্যা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারপরেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, সমন্বয় সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা এ কমিটির সদস্য। তারা আদৌ মামলার আসামী কি না বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। এছাড়া তাদের গ্রেফতারের এখতিয়ার পুলিশের। তারা যদি মামলার আসামী হয়ে থাকেন তবে মামলার কপি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে জানান তিনি।