শামীম তালুকদার,নেত্রকোণা
প্রতারণার অভিযোগে সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট ও বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট পরিচয়দানকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. হাবিবুল্লাহকে(৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রোববার ভোরে সিলেট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। হাবিবুল্লাহ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের আবদুল হকের ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনূর কবির জানান, মো. হাবিবুল্লাহ বাগেরহাট থেকে বিমানবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে নৌবাহিনীতে অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী নেত্রকোণার আটপাড়ায় পাঁচজনের নিকট থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে হাবিবুল্লাহ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তফালবাড়ী গ্রামের তার প্রথম স্ত্রীর বড় ভাই মহিবুল্লাহ, ছোট ভাই মহিউদ্দিনের মাধ্যমে খুলনায় সোনাডাঙ্গা বাইপাস এলাকায় চৌধুরী আবাসিক হোটেলে ইন্টারভিউয়ের নাটক সাজান। সেখানে নেত্রকোণার আটপাড়ার আরিফ খান, হাবিবুর রহমান, মো. ফরহাদ মিয়া, সৌরভ ও রাকিবের নৌবাহিনীতে অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরির ভূয়া নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়। পরে সেখানেই তাদের ভূয়া নিয়োগপত্র দেয়া হয়। ভূক্তভোগী হাবিবুর রহমানের বাবা আরাধন বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ২৭ জুলাই নেত্রকোণা পিবিআইয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পিবিআইয়ের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার) পিপিএমের নির্দেশে নেত্রকোণা পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে আটপাড়া থানায় ২৭ জুলাই হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়। পরবতীতে একই থানায় ৩১ আগষ্ট আরো দুইটি মামলা হয়। এদিকে হাবিবুল্লাহ আত্মগোপন করে।
তিনি আরো জানান, পিবিআইয়ের এস.আই ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স খুলনা ও সিলেটে অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোরে সিলেট বাসস্ট্যাণ্ড থেকে হাবিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। হাবিবুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া বসরীকে নিয়ে খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন আত্মগোপন করেছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাবিবুল্লাহ ৩০ লক্ষাধিক টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন।
yandanxvurulmus.JKH7Co2VKvNI