বাইডেনের এশিয়া সফরে পারমাণবিক বিস্ফোরণের আশঙ্কা——————————————————হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি
এশিয়া সফরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম রওনা দিচ্ছেন জো বাইডেন। আর সেই সফর চলাকালীনই পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে উত্তর কোরিয়া। এমনটাই আশঙ্কা করছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ।এএফপি সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের উদ্দেশে রওনা দেবেন বাইডেন। সেখানে দুই বন্ধু দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে শক্তিপ্রদর্শন করতে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে উত্তর কোরিয়া বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন।এই বিষয়ে বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর আছে যে প্রেসিডেন্টের সফর চলাকালীন বা তার ঠিক পরে পরীক্ষামূলক ভাবে আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে বা পারমাণবিক বোমা ফাটাতে পারে উত্তর কোরিয়া। ওই অঞ্চলে আমাদের মিত্র দেশগুলির নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে সমস্ত ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ করবে বাইডেন প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে কীভাবে পিয়ংইয়ংকে জবাব দেওয়া হবে সেই বিষয়ে টোকিও ও সিওলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এশিয়া মহাদেশে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে উত্তর কোরিয়া। তাইওয়ান দখল ও দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসনের চেষ্টা চালাতে পারে চিন। ফলে আমেরিকার আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনকে বাগে আনতে লাগাতার চেষ্টা করছে আমেরিকা। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের নির্দেশে দেশটির বিরুদ্ধে ‘অন্তর্ঘাত’ চলছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু কিমের পাশে দাঁড়িয়ে সেই সমস্ত প্রয়াস ভেস্তে দিচ্ছে চিন ও রাশিয়া। সম্প্রতি মিসাইল উৎক্ষেপণ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব আনে আমেরিকা। কিন্তু মস্কো ও বেজিংয়ের আপত্তিতে আপাতত সেই প্রস্তাব ঠান্ডাঘরে।উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই উত্তর কোরিয়ায় প্রথমবার করোনা সংক্রমণের কথা স্বীকার করে একনয়ক কিম জং উনের সরকার। কিন্তু বিশ্লেষকদের ধরণ, মুখে যা খুশি দাবি করলেও উত্তর কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল করে দেশটির প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের একজনকে টিকা দেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার টিকাকরণের দাবি জানালেও সেই আরজিতে আমল দেননি কিম।এমনকী, বন্ধু চিন ও রাশিয়া টিকা জোগান দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তাও ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে দেশটিতে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। এবং গত ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে কিমের প্রশাসন। এবার পরিস্থিতি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু করতে পারেন কিম।