শেরপুরের ঐতিহাসিক ও প্রাচীনতম মসজিদ মাই সাহেবা জামে মসজিদ কমিটি প্রতিদিন গণইফতারে প্রায় ৬ শতাধিক মানুষকে ইফতার করানো হচ্ছে।
রমজানের শুরু থেকেই গণইফতারে স্থানীয় এলাকাবাসী ছাড়া ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাট-বাজারে আসা বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করছে।
জানা গেছে, প্রায় আড়াইশত বছরের পুরনো এই ঐতিহ্যবাহী মাই সাহেবা মসজিদটি ভেঙে আধুনিক স্থাপত্যকলায় নির্মাণ করা হয়।
প্রাচীনকালের ওই মসজিদটিতে মাত্র ২১ জন মুসুল্লির নামাজ পড়া যেতো। মসজিদের দান বাক্সে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা জমা পড়ে। শেরপুর জেলায় এই মসজিদেই সর্বোচ্চ আয় হয়। ফলে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামী শৈল্পিক ও আধুনিক স্থাপত্যকলায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি বর্তমানে দুই তলার কাজ সম্পন্ন এবং তৃতীয় তলার কাজ চলমান রয়েছে।
বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলে কমপক্ষে ১০ হাজার মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে। চলতি বছর মসজিদে রমজানের শুরু থেকেই মসজিদ কমিটির উদ্যোগে প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে।
ইফতারে প্রতিদিন খিচুড়ি, বুট মুড়ি, পিয়াজু, খেজুর ও পানির ব্যবস্থা করা হয়। ইফতারের ঠিক পাঁচ থেকে দশ মিনিট আগে শহরের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ লাইন ধরে স্ব-উদ্যোগে পানির বোতল সংগ্রহ করে মসজিদের নিচ তলায় ইফতার সাজিয়ে রাখা ইফতারের প্লেট নিয়ে লাইন ধরে নিয়ে বসে ইফতার করছেন। মাই সাহেবা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানান, শহরে আসা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এবং এলাকার মানুষের সুবিধার্থে রমজানের শুরু থেকেই এই গণইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে ইফতারে মসজিদ কমিটির তহবিল থেকে কোন টাকা ব্যয় হচ্ছে না।
কমিটির সদস্য এবং বৃত্তশালী বিভিন্ন লোকজন ইফতার তহবিলে অর্থ দিয়েই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রান্না করা হয় বলে জানা গেছে।