1. admin@dainiksangbaderkagoj.com : admin :
  2. mahadihasanchamak@gmail.com : Azizul islam : Azizul islam
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনে গারো পাহাড় ধ্বংসের মুখে। - দৈনিক সংবাদের কাগজ
২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বুধবার| রাত ৩:৫০|

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনে গারো পাহাড় ধ্বংসের মুখে।

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪,
  • 17 Time View

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহ্যবাহি ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতায় রাংটিয়া রেঞ্জের গারো পাহাড়টিতে অবৈধ ভাবে বালু পাথর উত্তোলন করার ফলে গারো পাহাড় ধ্বংসের মুখে পরিণত হয়েছে।

পাহাড় দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন ঝর্ণা,খাল ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ ভাবে চলে আসছে বালু ও পাথর উত্তোলন।
ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পাহাড়ের সবুজ ঘেরা সৌন্দর্য দৃশ্য বিলীন হয়ে গেছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা সভার সিদ্বান্ত মোতাবেক বারবার ভ্রাম্যমান আদালত ও অভিযান পরিচালনা করা হলওে তা বন্ধ হয়নি।

বালু ও পাথর খেকোরা অবৈধ ব্যবসা করে কোটিপতি বনে গেছে। তাদের হুমকির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না।
বনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা অর্থের লোভে এই গারো পাহাড় ধবংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

শুধু তাই নয় দুর্বৃত্তরা ৫ তারিখ সরকার পতন হওয়ার পর থেকে কাংশা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালঘোষা নদীর বাঁকাকুড়া, গান্দিগাঁও, মালিটিলা, দরবেশতলা, হালচাটি এলাকা থেকে অবাধে বালু লুটপাট শুরু করে।

স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় এসব পাথর বালু উত্তোলনের পর রাতে মাহিন্দ্র ও ট্রলিযোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা সদরসহ এলাকার বিভিন্নস্থানে রাস্তার পাশে উত্তোলনকৃত বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

এখান থেকে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বালু।
এসব বালু লুটপাটে বাঁধা দিতে গিয়ে মাঝে মধ্যে বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

অনেক সময় বালু ভর্তি ট্রলিও মাহিন্দ্র আটকের পর বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বনবিভাগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, অর্ধশতাধিক দুর্বৃত্ত প্রতিরাতেই গারো পাহাড়ের বাঁকাকুড়া, গজনী, নওকুচি, বনরানী রিসোর্টের সামনে বসে আড্ডা দেয়। তারা সুযোগ বুঝে বালু পাথর পাচার ও বৃক্ষ নিধনে লিপ্ত হন।

তাদের গতিবিধি লক্ষ করতে ও পাহাড় রক্ষার সার্থে বন কর্মকর্তা কর্মচারীরাও রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন। ফলে তাদের চোখে এখন ঘুম নেই। অভিযোগ প্রকাশ, শেরপুরের গারো পাহাড়ে এ অবস্থা চলছে গত দেড় মাস ধরে।

বর্তমানেও এ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। ফলে পাহাড় রক্ষায় হিমসিম খাচ্ছে বনবিভাগ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাইবেন বলে জানান তিনি।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন বিষয়টি তার জানা আছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Calendar

Calendar is loading...
Powered by Booking Calendar
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া, নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি, কপিরাইট 2022 ইং দৈনিক আলোকিত বশিশাল এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
ভুল তথ্যর জন্য সেই তথ্য দাতাই দায়ী থাকবে, কর্তৃপক্ষ কোন ভাবে দায়ী থাকবে না।
Theme Customize BY BD IT HOST