শেরপুরের শ্রীবরদীতে যাত্রীবাহি বাস ও লাকড়ি বোঝাই ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ২জন সহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
২১ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুরুয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায নিহতরা হচ্ছেন শ্রীবরদী উপজেলার বড়পোড়াগড় এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ট্রলির হেলপার হামিদুর রহমান (২৬) ও পার্শ্ববর্তী জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে গোলাম ফারুক লিটন (৫০)। এসময় বড়পোড়াগড় এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে ট্রলির চালক রমজান আলী (২০)সহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
প্রতক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বকশিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী মামনি পরিবহনের বাসের ড্রাইভার ঘুমন্তবস্থায় থাকায় বাসের এসিস্ট্যান্ট বাসটি চালাচ্ছিল। এতে দ্রুতগামী বাসটি লাকড়িবাহী ট্রলিকে ধাক্কা দিলে বাসটি পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
এসময় ঘটনাস্থলেই ট্রলির হেল্পার হামিদুর রহমান মারা যায়। আহত হয় ট্রলির চালক ও বাসযাত্রীসহ অন্তত ১০ জন।
আহতদের মধ্যে গোলাম ফারুক লিটনকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত লিটন শেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামালের ভাই।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিক জানান, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার সহ ঘাতক বাসটিকে আটক করে।
এসময় বাসের ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।