মোঃ সোলায়মান হাওলাদার বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধিঃবরিশাল নগরীর প্যারারা রোড় নিবাসী ফরিদা বেগম (৫১) পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থেকে চলছে তাদের বসবাস। জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল গ্ৰামে নদী ভাঙ্গনে স্বামীর বসত ভিটা হারিয়ে প্রায় ৩০ বছর আগে পরিবার নিয়ে বরিশালে আসেন। তারা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ভোটার। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। গতকয়েক বছর যাবৎ একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি স্বামীর অসুস্থতার কারনে পরিবারের হাল ধরতে নিজেই বরিশাল ডায়বেটিসক হাসপাতালে আয়ার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। ফরিদা বেগম জানান, আমার দরিদ্র পরিবারে হাতাশা লেগে রয়েছে। স্বামী অসুস্থ থাকায় আমাকে ধরতে হয় সংসারের হাল। আমার নেই কোন জায়গা জমি, নেই কোন ঘর। অন্যের বাড়িতে ভাঙ্গা ঘড়ে খুব কষ্ট করে বসবাস করি। তিনি আরও বলেন, শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গরীবদের নাকি ঘর দেয়। আমি একটি সরকারী ঘর পাওয়ার জন্য সদর উপজেলার ইউএনও স্যারের কাছে একটি আবেদন করছি। অন্য মানুষের বাড়িতে আর কতদিন থাকব। বিসিসির ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী আক্তারুজ্জামান হিরু বলেন, ফরিদা বেগম পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন। তারা ইতিপূর্বে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ঘর পাওয়ার জন্য একটি আবেদন করেছেন। সরকারীভাবে তাদেরকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হত। এ বিষয়ে প্যারারা রোডের একাধিক বাসিন্দারা বলেন, আসলেই ফরিদা বেগমের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তাদেরকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হত। একটি ঘর পেলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। যাচাই-বাছাই করে তাদের একটি সরকারি ঘর দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি