শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আলহাজ শাহজাহান আকন্দ। তিনি ছাড়াও যুগ্ন আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান ও মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ফেসিস্ট সৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের অংশিদার সাবেক বিএনপি নেতা জনাব আমিনুল ইসলাম বাদশা।
যিনি পর পর দুইবার দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে গত ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়ীত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব জনাব রহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বহিস্কারাদেশের মাধ্যমে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে বহিস্কার করেন।
তথাপি তিনি গত ২৩. ০১. ২০২৫ ইং তারিখ বিকাল ৩ টায় তাহার নিজ বাসভবনে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে সভার আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সুনাম নষ্ট করার জন্য ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে চাঁদাবাজী, টেন্ডাবাজী, ভূমিদখলসহ বিভিন্ন অপপ্রচার করে বক্তব্য রাখেন।
যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি তার বক্তব্যে দলের মহা সচিব তাহার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছেন বলে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদাণ করেন।
আমরা বিএনপির সকল দায়ীত্বশীল নেতাকর্মীগণ এই বহিস্কৃত নেতার সকল অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই আওয়ামী দোসর সুবিধাভোগী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারির যাতে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা হয় এ ব্যাপারে জোর দাবী জানাচ্ছি। ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, যুব দল নেতা মাসুম বিল্লাহ ছাড়াও উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দল, তাঁতি দল, স্বেচ্ছাসবক দলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।