বরিশালের বানারীপাড়ায় এক অসহায় স্বামী নিজ স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিক মিলটনের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর ২৯৭ নং মামলা দায়ের করেন। মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার তেতলা গ্রামের বৃদ্ধ সুনিল মজুমদারের ছেলে পরিতোষ মজুমদার ও তার স্ত্রী পূর্নিমা সিকদার দীর্ঘ ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে খুবই সুখী ছিল। কিন্তু বাড়ির পাশের মাখন লাল মিস্ত্রির ছেলে লিটন মিস্ত্রির সাথে পরিতোষ মজুমদারের স্ত্রী পূর্নিমার সহিত বিবাহ বহির্ভূত ও অনৈতিক পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হইয়া পড়ে। এ বিষয়টি থেকে পরিতোষ মজুমদার ঐ পরকিয়া প্রেমিক মিলটন মিস্ত্রিকে বিরত থাকতে বললে মিলটন উপরন্ত পরিতোষের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং ক্ষতি সাধনে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এর কিছুদিন পর ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে বাদী পরিতোষ মধুরভিটা বাজার হতে বাড়িতে এসে দেখে ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট নিভানো। ঘরে ডুকে স্বামী পরিতোষ লাইট অন করলে স্ত্রী ও মিলটন মিস্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। স্ত্রীর ঐ দৃশ্য দেখে স্বামী দিকবিধিক শুন্য হয়ে পড়ে এবং হাতের কাছে যা পেয়েছে তা দিয়েই লম্পট মিলটন মিস্ত্রীর পিঠে আঘাত করে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সুচতুর মিলটনকে আটকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। মামলায় আরো উল্লেখ রয়েছে ঘটনার পর মিলটনের প্ররোচনায় পরিতোষ মজুমদারে স্ত্রী ঘরে থাকা দের লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তভার পরে পিবিআই,বরিশাল জেলার উপর। পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় বাদী বিবাদী একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্ধা। অত্র মামলার বাদী ও তার স্ত্রী পূর্নিমা সিকদার’র ২০ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সন্তান নেই। অন্য দিকে বিবাদী মিল্টন মিস্ত্রী বিবাহিত ও তিনটি সন্তান রয়েছে। পরিতোষ মজুমদারের অভিযোগের মধ্যে পরকিয়া ও ঘটনার দিন আপত্তিকর অপস্থায় পাওয়ায় অভিযোগের সত্যতা তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এবং স্ত্রী পূর্নিমা লোকলজ্জার ভ্রযে বাবার বাড়ি চলে যান এই মর্মে ও উল্লেখ রয়েছে এবং বিবাদী মিল্টন মিস্ত্রী(৫০) পিতা মাখন লাল মিস্ত্রী, সাং তেতলা, পোস্ট তেতলা,
ঘটনার দিন স্ত্রী পূর্নিমা সাথে বিবাদী মিল্টনের পরকিয়া প্রেমের কারনে ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়ায় বিবাদী কর্তৃক পেনাল কোড ৪৯৭ ধারার অপরাধ সংঘটনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত রিপোর্টে বরিশাল পিবি আই বরিশাল জেলার এস আই (নিরস্ত্র) মোঃ গোলাম কাওসার, পিবিআই (বরিশাল জেলা)/তদন্ত ৭২০৫ স্মরকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেচ, বানারীপাড়া আমলী আদালতে দাখিল করেন।স্বামী পরিতোষ মজুমদার বলেন আমার স্ত্রী দুচরিত্রা, সে পর পুরুষের সহিত যৌন সমঙ্গমে লিপ্ত। তাকে আমি বারবার এ পথ থেকে ফিরাতে চেষ্টা করে বার বার ব্যর্থ হয়েছি। তাই হাতে নাতে তাদের কুকীর্তি ধরে আদারতের স্বরনাপন্ন হয়েছি ন্যায় বিচার পাবার জন্য। আমার মত এমন অভাগা কপাল যেন এই পৃথিবীর কোন স্বামীদের না হয় ভগবানের কাছে শুধু এই প্রার্থনা।