বিশেষ প্রতিনিধি:
ক্রমশ দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩ নং লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ। সব ধরণের নাগরিক সুবিধা নিতে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও জনসাধারণকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকা।কিন্তু জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়ার জন্য নেওয়া হচ্ছে লোক বিশেষ ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে।কাঙ্খিত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিলম্বিত হয় সেবা প্রাপ্তিতে।
সম্প্রতি লাবসা ইউনিয়নের উত্তর দেবনগর গ্রামের সদরুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার ও বিল্লাল হোসেনর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক বরাবর উদ্যোক্তা মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন লাবসা ইউপির ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন উদ্যোক্তা মোঃ মেহেদী হাসান। সরকারি ফির কথা বলে জন্ম সনদ দেওয়ার বিনিময়ে গ্রহণ করেন ২০০-৩০০ টাকা।তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত উদ্যোক্তা মেহেদী হাসানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, “আমার ইউনিয়ন পরিষদে এরকম দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয়। মেম্বর আসাদুজ্জামান আসাদ নিজেই একজন দুর্নীতিবাজ লোক।জন্ম সনদ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা মতে সত্য নয়। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকলে মেম্বর আসাদ সেটি প্রমাণ করুক। তিনি স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক বরাবর দায়েরকৃত অভিযোগে যে তিন জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তারা আসাদ মেম্বরের নিজের লোক।”