শেরপুরের সীমান্তবর্তী ভিআইপি উপজেলা হিসেবে পরিচিত নালিতাবাড়ীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর-পরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জয়ের আশায় গণসংযোগে মাঠে নেমে পড়েছেন।
এ উপজেলায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ সহ নানা ভাবে দিবা-রাত্রী মাঠে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
বর্তমানে ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা। কে যোগ্য, কার জেতার সম্ভাবনা আছে এ নিয়ে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় দেড় ডজন প্রার্থী প্রতিদিন কর্মী সমর্থক নিয়ে সভা-সেমিনারসহ দোয়া সমর্থন চেয়ে নানা ভাবে ভোটারদের নজর কাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকে দান-অনুদান সহ ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
সম্প্রতি সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। যোগাযোগ করা হলে বিএনপির প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন বলে জানান। আসছে নির্বাচনে ২/১ জন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বলে জানাগেছে।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আলহাজ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মোশারফ হোসেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি আছমত আরা আছমা সহ একাধিক প্রার্থী।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেরপুর জেলা কৃষকলীগ নেতা শামশাদ আলম সরকার, উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন রিপন, ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন, সাবেক যুবলীগ নেতা মেহেদী হাছান রাজন, শেখ ফরিদ, মেহেদী হাসান বিল্লালসহ আরো অনেকেই ইতিমধ্যেই দোয়া সমর্থন কামনা করে প্যানা ও ফেসবুকে প্রার্থিতা জানান দিয়ে মাঠে গণসংযোগ করছেন।
অত্র উপজেলায় নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৩৯ হাজার ৬শ ৩৯ জন।
এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আশুরা বেগম, নোহেলিকা দিব্রা, ক্লোডিয়া নকরেক কেয়া, ও কমিউনিষ্ট পার্টির শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমানে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান লিটন এ প্রতিনিধি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কিনা বলা মুশকিল। দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। দলীয় বা ব্যাক্তিগত ভাবে প্রার্থী হওয়ার এখনও কোন সংকেত পাইনি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আমি নির্বাচন করবনা।
অপর বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন ভিপি জানান, প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে তবে এখনো দলীয় কোন সিগনাল পাইনি। বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশনা না পেলে আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবোনা।
সচেতন মহল জানান, যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি’র কেউ অংশ নেয় তাহলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সেই সাথে ভোটের চিত্র পরিবর্তনসহ শেষে ৩টি পদেই প্রার্থী কম বেশি হতে পারে।