বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।
বগুড়ার ধুনটে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু ও শেরপুর ধুনটের মাননীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান এর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ও শহরে উত্তেজনা বিরাজ করেছে। দিনব্যাপী চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ মোটরসাইকেল ও ২০ টি চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে এবং শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।
জানা যায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজনু গ্রুপের নেতাকর্মীরা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের নামে শক্তি প্রদর্শনের জন্য মহড়ার আয়োজন করে। খবর পয়ে এম পি গ্রুপের নেতাকর্মীরাও সন্মেলন স্থান হতে অদূরে মাটি কোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে অবস্থান নেয়। মজনু গ্রুপের নেতাকর্মীরা রোড পরিবর্তন করে সন্মেলন স্থলে গিয়ে সংক্ষেপে সমাবেশ শেষ করে ফিরে এসে বাজারের পশ্চিম পাশে বাজাজ মোটরসাইকেল শো-রুম সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নেয়।এ-সময় এম পি গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাজারের ঢোকার চেষ্টা করলে মজুন গ্রুপের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, কিরিচ, হাতে দেখা যায়। পরে পুলিশ সংঘর্ষস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান্যান মহসীন আলম বলেন দলীয় নেতাকর্মীরা স্বাধীনতার মাসে তালিকাভুক্ত রাজাকার ও রাজাকার পুত্রের নেতৃত্বে মিটিং প্রতিহত করেছে।
দিনব্যাপী উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ থাকায় বিচ্ছিন্ন দু’একটা ঘটনা ব্যাতিত বড় কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নাই। পরিস্থিতি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুকূলে রয়েছে।
উল্লেখ্য যে ইতিপূর্বে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিংকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১২ মার্চ মজনু গ্রুপের সমাবেশ থেকে ফিরে বগুড়া সাত মাথায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির খুন হয়। এবং নিজ গ্রুপ ভারী করতে গত পৌর সভার নির্বাচন হতে ইউ পি নির্বাচন পর্যন্ত এম পি গ্রুপের উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ডসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।