ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজার: মহেশখালী পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মাওলানা ওসমানের আপন ছোট ভাই ও যুদ্ধাপরাধী কারান্তরীন বাদশা মিয়া মেম্বারের আপন ভাগিনা, জামায়াত নেতা জামাল হোসেনের আপন ভাই গত পৌরসভা নির্বাচনে মাত্র ৮২ ভোট পাওয়া বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেনের করা মামলায় দীর্ঘ দেড় মাস কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্তি পাওয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা ৭ জনকে নিয়ে বিশাল গণসংবর্ধনার আয়োজন করে মহেশখালী পৌরসভা নাগরিক কমিটি।
আজ ০৪ মার্চ ২০২২ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় গোরকঘাটা বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে এই বিশাল গণসংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহেশখালী পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, বিএনপি ক্যাডার আমজাদ হোসেন পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে জামাত-বিএনপির চক্রান্তে পুরো মহেশখালী পৌর আওয়ামীলীগ পরিবারসহ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা বহু লোককে আসামি করে মামলা দায়ের করে শান্ত পৌরসভাকে অশান্তির রাজ্যে পরিণত করার পায়তারা করছে। এটা পৌর আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার এক মহা চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি।
মহেশখালী পৌরসভায় অবস্থিত গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আশরাফ বলেন, বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেনকে রাতের আঁধারে জামাত অধ্যুষিত এলাকা লিডারশীপ কলেজের সামনে কে বা কারা হামলা করেছে কেউ দেখেনি ৷ ঘটনার পরপরই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মাওলানা ওসমানের ভাগিনা ডাক্তার হাশেমের ছেলে মালয়েশিয়া থেকে লাইভে বক্তব্য করা,জামাত শিবিরের নেতারা তা শেয়ার করা, জামাত-বিএনপি’র পূর্ব পরিকল্পিত হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে, শুধু তাই নয় এর পূর্বে কুতুবজোম ইউনিয়নে মাছের প্রজেক্ট দখল করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে আহত হয়ে বহু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পৌর আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করে এই আমজাদ হোসেন। আমরা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি; সাথে সাথে প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
বক্তব্যে কারানির্যাতিত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, বিনা অপরাধে আমরা আপন দুই ভাই কারাবরন করে আজ মুক্তি লাভ করেছি তাতে আমার দুঃখটা খুব একটা বেশি না, কারণ আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছি তাই বিএনপি জামায়াতের লোকেরা সবসময় আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক কর্মকান্ড করবেই। তবে আমার সবচেয়ে বেশি দুঃখটা হচ্ছে যে, আমার আর এক ভাই ২০১৭ সালে অকালে মৃত্যুবরণ করেন, তাকে পর্যন্ত এই মামলাবাজ বিএনপি ক্যাডার আমজাদ হোসেন বাদ দেই নাই। এটাই প্রমান করে যে, এটা একটা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা।
সভাপতির বক্তব্যে মহেশখালী পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমরা জানি আমজাদ হোসেনের পুরো পরিবারই সরকারবিরোধী। বিএনপি’র আমলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট করছে ৷ আমজাদ হোসেনের বড় ভাই মাওলানা ওসমান যোদ্ধাপরাধের দায়ে করা মামলায় কারাবরণ করে বর্তমানে জামিনে রয়েছে, তার আপন মামা বাদশা মিয়া সাবেক মেম্বার যোদ্ধাপরাধ মামলায় কারাগারে রয়েছে, একভাই জামাল হোসেন জামায়াত ইসলামীর নেতা, আমজাদ হোসেন নিজে একজন বিএনপি নেতা। তার এইসব মামলা মুক্তিযোদ্ধার নামে জামায়াত শিবিরের চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্যাডার আমজাদ হোসেনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভূঁয়া কিনা বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছি ।
তার মামলা থেকে বাদ যায়নি পৌর যুবলীগের আহবায়ক মুহাম্মদ মামুন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ হাসান মুরর্শেদ। সংবর্ধনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণমাধ্যমকর্মী এ কে রিফাত, কারানির্যাতিত যুবলীগ নেতা মোঃ একরাম, কারা নির্যাতিত ও সংবর্ধিত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, শামসুদ্দিন, তোফায়েল হোসেন, জসীম উদ্দিন, মাহবুব আলম মাবু।