শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর সড়ক দূর্ঘটনায় মো. হামিদুল্লাহ নিহত হয়। এ ঘটনায় ঘাতক বাস ড্রাইভার মমিনুলকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর দিঘলদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকুত মমিনুল জেলার নন্দী বাজার এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, শ্রীবরদী উপজেলার বড় পোড়াগড় মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হামিদুল্লাহ ট্রলি গাড়ির হেলপার এবং মমিনুল মামনি পরিবহন (বাস গাড়ির) ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতো। গেলো ২১ফেব্রুয়ারি সকালে ভিকটিম হামিদুল্লাহ ট্রলীতে কাঠ বোঝাই করে শ্রীবরদী থেকে শেরপুর যাচ্ছিল। এসময় নিয়ন্ত্রনহীন ও বেপরোয়াগতিতে শেরপুর হতে ছেড়ে আসা বকশীগঞ্জগামী বাস গাড়িটির চালক মো. মমিনুল নিয়স্ত্রন হারিয়ে ভিকটিমের ট্রলীর উপর উঠিয়ে দেয়। এতে গুরুতরভাবে আহত হয় হামিদুল্লাহ। এসময় পালিয়ে যায় বাস চালক মমিনুল।
স্থানীয়রা হামিদুল্লাহকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে নিহতের বড় ভাই মো. সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরে থেকেই বাস চালক মমিনুল আত্মগোপনে ছিল।
এ ঘটনার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী’র নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে মমিনুলকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত মমিনুলকে উক্ত মামলায় শ্রীবরদী থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।