আসন্ন ষষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দি চেয়ারম্যান প্রার্থী তার বন্ধু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এর পক্ষে সরাসরি প্রচারণা চালানোর অভিযোগ এনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেন আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান লেবু।
গত ২২ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।সংবাদ সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দি চেয়ারম্যান প্রাথী ও উপজেলা
আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান লেবু জানান,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এমপি, মন্ত্রীদের সকল প্রকার প্রচার প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দি চেয়ারম্যান প্রাথী তার বন্ধু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এর পক্ষে সরাসরি প্রচারণা চালান। শুধু তাই নয়, নির্বাচন শুরুর আগেই উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৫২ ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের বাধ্যতামুলক ভাবে শেরপুর জেলা শহরের তার নিজ বাসভবনে সামনে খেলার মাঠে বিশাল প্যান্ডেলে ডেকে নিয়ে জনসভা করে বন্ধু বিশ্বজিৎ-এর হাতে হাত উঁচিয়ে ধরে উপস্থিত সকলকে দুহাত তুলে দাড়িয়ে তার পক্ষে নির্বাচন করতে অঙ্গীকার করানোসহ সকলকে যাতায়াতের খরচ অর্থসহ খাবার প্যাকেট প্রদান করেন।
যে দৃশ্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিবিসি নিউজ,চ্যানেল ২৪,নিউজ ২৪ টেলিভিশনে প্রচারের পর ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তিনি আরো জানান,স্থানীয় সংসদ সদস্য তার বন্ধু প্রতিদ্বন্দি চেয়ারম্যান প্রাথীর পক্ষে সরাসরি প্রচারণা চালানো নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে আশংকায় তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম তাহার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”আমি কোন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি ভোট চাইনি। ঈদ পরবর্তী উপজেলার সকল নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিদের সাথে আমি ঈদ পূর্ণমিলনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম মাত্র।