যশোরের শার্শার কৃষকরা ধান চাষের জন্য পরিচিত। এখানে প্রচুর পরিমাণ ধান চাষ হয়। তবে এবছর সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সরিষার ভালো দামের গুঞ্জনে আশা দেখছেন লাভবান হওয়ার।
বাম্পার ফলন, পরিশ্রম আর কম খরচ কারণে দিন দিন সম্ভাবনাময় ফসলে পরিণত হয়েছে সরিষা। অন্যদিকে ধান উৎপাদনে অধিক খরচ এবং ধানের দাম কম হওয়ায় এমনটি দাবি করেছে এ এলাকার কৃষকরা।
শার্শ উপজেলার কৃষক আসানুর, নজরুল,কবিরসহ একাধিক কৃষক জানান, ইদানীং ধানচাষ করে লোকসানে পড়ার কারণে তারা আগাম জাতের সরিষা চাষ করেছে। এ ছাড়াও সরিষা উৎপাদনে সার কম প্রয়োগ করতে হয় এবং১ থেকে ২টিসেচ,সামান্য কীটনাশক ও হাত নিড়ানীর প্রয়োজন হয়। খরচ কম ও স্বল্প সময়ে এ ফসল চাষ হয়।
উপজেলার কয়েকটি মাঠে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠে এখন সরিষার আবাদে ঝুঁকছে কৃষকেরা।
ক্ষেতলাল উপজেলার তোফাজ্জল জানান, সরিষায় কম খরচ, কম সময়, কম ঝামেলায় ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ঝুঁকে পড়ছে। প্রতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা চাষ বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, গত বছর ৫৮৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিলকরার পরে এবার গত বছরের তুলনায় বেশি জমিতে সরিষা চাষ হবে।এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে কৃষকের খরচ হবে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ৭ থেকে ৮ মণ।
উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের সাড়াতলা গ্রামের মিজবাহ,আনারুল,বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ধান্যখোলা গ্রামের সাইফার,মান্দারতলা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদসহ অনেকে জানান, সরিষা চাষে শ্রম কম, অন্যান্য ফসলের তুলনায় রোগ-বালাইও নেই। শুধু জমি প্রস্তুত সময় একবার সার প্রয়োগ করে সরিষা রোপণ করা হয়। ফসল ঘরে তোলা সময় পর্যন্ত ১ থেকে ২ বার সেচ দিতে হয় সরিষার ক্ষেতে। এছাড়া সরিষার জমিতে পরে কোন ফসল ফলাতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করতে হয় না